Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সোলার সেচ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন ডুয়েল পাম্পিং সিস্টেম

সোলার সেচ ব্যবস্থায়
নতুন সংযোজন ডুয়েল
পাম্পিং সিস্টেম

প্রকৌশলী এস এম শহীদুল আলম

কৃষি প্রধান বাংলাদেশের খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অবদান অপরিসীম। ফসল উৎপাদনে সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। ভ‚গর্ভস্থ পানির ভারসাম্য রক্ষা করে ভূপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদার যোগান দেয়ার লক্ষ্যে কৃষিতে আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও সংযোজনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অঞ্চলভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ভ‚পরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএডিসি কর্তৃক ‘বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন’ শীর্ষকপ্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্প এলাকায় ৮৫টি বৈদ্যুতিক এলএলপি ও ১০টি সৌরচালিত সেচযন্ত্র স্থাপন, ১২১ কিমি. ভ‚গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ, ২৫০ কিমি. খাল পুনঃখনন/সংস্কার, ১৮৫টি বিভিন্ন আকারের হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার নির্মাণ এবং ৪৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্পের আওতায় মূল উদ্দেশ্যসমূহ অর্জন হবে। যেমন-
সেচ অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সেচ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে  ১৮৩৪৩.১০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৮২৫৪৩.৯৫ মে. টন খাদ্যশস্য উৎপাদন; প্রকল্প এলাকায় খাল/নালা খনন/পুনঃখননের মাধ্যমে ভ‚পরিস্থ পানি নির্ভর সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশন ত্বরান্বিতকরণ। ভ‚পরিস্থ পানির সাহায্যে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, সেচ খরচ হ্রাস, পতিত জমি সেচের আওতায় আনা, জলাবদ্ধতা হ্রাস, কৃষকের বার্ষিক আয় বৃদ্ধি ও পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে যা দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্পের কার্যক্রম ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখছে। এছাড়া পুনঃখননকৃত খালে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার নির্মাণের ফলে খালে পানি ধারণ বৃদ্ধি পাবে ও খালের পাড়ে বৃক্ষরোপন করায় পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় উৎপাদিত শস্য সহজেই পারাপার, কৃষি উপকরণ মাঠে আনা নেয়া সম্ভব হচ্ছে।
প্যারিস চুক্তি অনুসারে, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনতেই হবে। এতে অদূর ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক সেচযন্ত্র এবং জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত সেচযন্ত্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত সেচযন্ত্র কৃষি খাতে এনে দিতে পারে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০টি ০.৫ কিউসেক সোলার এলএলপি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সৌরশক্তি ব্যবহার করে নদী থেকে সেচ দেয়া ভ‚পরিস্থ’ পানি ব্যবহারের উত্তম উপায়। এলক্ষ্যে এ অঙ্গটি বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। ভ‚পরিস্থ পানি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নদ-নদী, খাল-নালা, বিলে অবস্থান করে অর্থাৎ বর্ষা মৌসুম (জুন-সেপ্টেম্বর) এবং পরবর্তী সময়ে সাগর মহাসাগরে পতিত হয়। ফলে ভ‚পরিস্থ জায়গায় কৃষি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি প্রায় তলানীতে চলে যায়। এতে এলএলপি চালনা সম্ভব হয় না। তখন সোলার স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে এবং জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে না এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সমস্যার সমাধানের জন্য এবং সৌরশক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রকল্পে সোলার এলএলপিতে ডুয়েল সিস্টেম পাম্প সংযোজনের নতুন একটি আইডিয়া আসে। প্রকল্প এলাকার ০৮টি স্থানে ডুয়েল পাম্পিং সিস্টেমযুক্ত সোলার পাম্প এবং ০২টি স্থানে সৌরশক্তি সম্পন্ন ডাগওয়েল স্থাপনের কাজ এ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সৌরশক্তির একটি সাধারণ মডিউল লম্বায় এক মিটার ও চওড়ায় ১.৬৫ মিটার। সৌরশক্তির এক সারি মডিউল স্থাপন করে দুই সারির মাঝখানে জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এক সারি মডিউল বসানোর পর জায়গা ফাঁকা রেখে আবার এক সারি মডিউল বসানো হয়েছে। এর ফলে মাঠের ফসল পর্যাপ্ত আলো পাবে এবং মডিউল স্থাপনে ব্যবহৃত জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে ৭০ শতাংশ অক্ষুণœ থাকবে। এছাড়া কৃষিবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর জন্য উক্ত জমির মালিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করে প্রণোদনা হিসেবে বিভিন্ন জাতের বিএডিসির সবজি বীজ প্রদান করা হয়েছে।
সেচ ব্যবস্থাপনা : ফসল উৎপাদনে সামগ্রিকভাবে সেচ ব্যবস্থাপনা একটি সমন্বিত কার্যক্রম। সেচ ব্যবস্থাপনা সেচের পানির উৎস, সেচযন্ত্র, পানির পরিবহণ ও বিতরণ, সঠিক সময় এবং যথাযথ প্রয়োগ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। তন্মধ্যে পানির পরিবহণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবহণ ও যথাযথ প্রয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে সেচ খরচ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ সেচযন্ত্র মাঠ পর্যায়ে কাঁচা সেচনালার মাধ্যমে পানি পরিবহণ করা হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে সেচযন্ত্রের কাঁচা সেচনালায় পরিবহণ অপচয় প্রায় ৪৭% এবং শাখা ও উপশাখা সেচনালায় অপচয় প্রায় ২৩%। ফলে কাঁচা সেচনালায় পানি পরিবহণের কারণে কমান্ড এরিয়ায় মোট অপচয় ৫০-৭০% (বারি বুকলেট-১৯৯৭)। কাঁচা সেচনালায় সাধারণত বাষ্পীয়ভবন (ঊাধঢ়ড়ৎধঃরড়হ), অনুস্রাবণ (চবৎপড়ষধঃরড়হ), চোয়ানো (ঝববঢ়ধমব) এবং আগাছা এর মাধ্যমে অপচয় হয়ে থাকে। ফলে সেচের পরিবহণ দক্ষতা কমে যায়। অপরদিকে, কাঁচা সেচনালায় তৈরিতে মোট কমান্ড এরিয়ার প্রায় ২-৪% আবাদী জমি অপচয় হয় (অ.গ. গরপযধবষ, ওৎৎরমধঃরড়হ ঞযবড়ৎু ধহফ চৎধপঃরপব)। (সূত্র : মো. জিয়াউল হক, প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ), বিএডিসি, ঢাকা)। সৌরশক্তি চালিত সেচযন্ত্রে জ্বালানি খরচ না থাকলেও সেচের পানির অপচয় রোধ করা অত্যাবশ্যক। পানি ও আবাদি জমির অপচয় রোধের লক্ষ্যে প্রতিটি সৌরশক্তি চালিত সেচযন্ত্রে ৬০০ মিটার করে    ভ‚গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ করা হয়েছে।
একসেট সৌর প্যানেল দ্বারা চলবে পর্যায়ক্রমে দুই পানির সোর্সের দু’টি পাম্প। এলক্ষ্যে এক স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ভার্টিক্যাল সারফেস পাম্প ও সাব-মার্জড পাম্প। প্রতিটি পাম্প চালনার জন্য কন্ট্রোল পযধহমব সিস্টেম ও ডবষষ ঢ়ৎড়নব ংবহংড়ৎ ভড়ৎ ফৎু ৎঁহ সংযোজন করা হয়েছে। এতে নদীতে যতদিন পানি থাকবে ততদিন ভ‚পরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সারফেস পাম্প চলবে এবং একেবারে শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি তলানীতে চলে গেলে অটোমেটিক সিস্টেমে সাব-মার্জড পাম্প দ্বারা পানি উত্তোলন হবে। অর্থাৎ যখন ভ‚পরিস্থ পানি পর্যাপ্ত থাকবে তখন ব্যবহৃত হবে সারফেস পাম্প আর যখন ভ‚পরিস্থ পানি থাকবে না তখন ব্যবহৃত হবে সাবমার্জড পাম্প। এতে   কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ প্রদান অব্যাহত থাকবে।
সৌরশক্তি চালিত পাম্পগুলো পরিচালনার জন্য দু’টি পদ্ধতি সংযোজন রয়েছে। একটি সরাসরি সরেজমিন উপস্থিত হয়ে পাম্প পরিচালনা এবং আর একটি রিমোট সিস্টেম সেন্সরের মাধ্যমে পরিচালনা করা। সিস্টেমে লগইন করে রিমোট সিস্টেম সেন্সরের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন স্থান হতে পাম্পটি পরিচালনা করা এবং সোলার ওপাম্প পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় ডাটা পাওয়া সম্ভব। এজন্য প্রতিটি স্কিমে চঝ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ্ চঁসঢ় গধহধমবৎ এর জন্য সংযোজন করা হয়েছে জবসড়ঃব ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ উবারপব ্ ঈষড়ঁফ গধহধমবসবহঃ.
ডুয়েল পাম্প সংযোজন সেচ ব্যবস্থাপনায় একটি সম্পূর্ণ নতুন আইডিয়া এবং এটি ‘বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর একটি উদ্ভাবন। সকলের সহযোগিতায় প্রকল্প এলাকার সংশ্লিষ্ট সকল প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ নতুন আইডিয়াটি বাস্তবায়ন হয়েছে। যা ব্যবহৃত হবে কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে। য়

তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক, বিএডিসি, বগুড়া। মোবাইল : ০১৭১৮৭৮১৯৭৯, ই-মেইল : aeirrigation2badc@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon